আজ বৃহস্পতিবার, ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

তারা সংখ্যালঘুদের খোঁজ নেয়নি

নবকুমার:

হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজায় সংখ্যালঘু হিন্দুদের পাশে ছিলেন না রূপগঞ্জের বিএনপি নেতারা! সুত্রের খবর এবার রূপগঞ্জে ৫১ টি পূজামন্ডপে পূজা হয়েছে। কোন মন্ডপে বিএনপি নেতা কাজী মনিরুজ্জামান, মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুইয়া, আলহাজ¦ নাসির উদ্দিন, হুমায়ুন , বাচ্চুদের দেখা যায়নি। বিএনপির পক্ষ থেকে বা নিজেদের পক্ষ থেকে তারা সংখ্যালঘুদের সহায়তা দিয়েছে এমন খবরও পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাছুম চৌধুরী অপু বলেন, ভোট এলে বিএনপি নেতারা সংখ্যালঘুদের চেনে। ভোট চলে গেলে বিএনপি নেতারা সংখ্যালঘুদের খোঁজ রাখে না। তারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে।
রূপগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক মিয়া বলেন, বিএনপির আমলে রূপগঞ্জে ৮ টি পূজামন্ডপ ছিলো। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এবার রূপগঞ্জে ৫১ টি পূজামন্ডপে পূজা হয়েছে। আমাদের নেতা বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক রূপগঞ্জের প্রত্যেকটা পূজামন্ডপে সহায়তা দিয়েছেন। তিনি মন্ডপগুলো পরিদর্শন করে সংখ্যালঘুদের খোঁজ নিয়েছেন।
বিএনপি এক নেতা জানান, ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ তারাই তো এখন যাবে । আমরা গেলে তারা বলবে ষড়যন্ত্র করতে এসেছে।

এদিকে রূপগঞ্জে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করছে। রূপগঞ্জে অনেক সংখ্যালঘু ভোট। বিএনপি কি সংখ্যালঘুদের সমর্থন পাবে?
গত নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর কাজী মনিরুজ্জামান জেলা বিএনপির সভাপতির পদ থেকে বাদ পড়েন। তিনি এলাকায় খুব কম এসেছেন। সুত্রের খবর তিনি আর্থিক সংকটের মধ্যে। স্থানীয় বিএনপি এবার প্রার্থী পরিবর্তন করার দাবি তুলছে। আগামী নির্বাচনে রূপগঞ্জ আসন থেকে ধীনের শীষ প্রতীকে কে নির্বাচন করবে তা নিয়ে কথা হচ্ছে । কে হবে বিএনপির প্রার্থী এখন পর্যন্ত পরিস্কার হয়নি। কাকে সামনে নিয়ে এগিয়ে যাবে রূপগঞ্জ থানা বিএনপি তা পরিস্কার করেনি দলটির নেতারা। তবে দলটির নেতারা কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত ।

অপরদিকে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক,এমপি।